Top News

নির্বাচনকে সামনে রেখে জমে উঠেছে টুপির ব্যবসা, ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন এলাকায় জমে উঠেছে রাজনৈতিক টুপির ব্যবসা। বিশেষ করে দলীয় রঙ, প্রতীক ও স্লোগান সংবলিত টুপির চাহিদা হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। এতে করে টুপি প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতাদের মধ্যে দেখা গেছে বাড়তি ব্যস্ততা, পাশাপাশি ফিরেছে হাসি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকার ইসলামপুর, পুরান ঢাকা, সাভার, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, গাজীপুরের টঙ্গী ও কুমিল্লার চান্দিনা এলাকায় মূলত এসব টুপি তৈরি করা হয়। ছোট ছোট কারখানা ও ঘরে বসে কাজ করা শ্রমিকদের মাধ্যমে প্রতিদিন হাজার হাজার টুপি প্রস্তুত হচ্ছে।

এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন কাপড় ব্যবসায়ী, সেলাই শ্রমিক, স্ক্রিন প্রিন্টিং কারিগর, পাইকার ও খুচরা বিক্রেতারা। বিশেষ করে রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকরাই সরাসরি অর্ডার দিচ্ছেন এসব টুপির জন্য।
পুরান ঢাকার ইসলামপুরের এক টুপি ব্যবসায়ী বলেন,
“নির্বাচন এলেই আমাদের কাজ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এখন দিনে যা বিক্রি হচ্ছে, সাধারণ সময়ের তুলনায় তিন থেকে চার গুণ বেশি।”

অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকায় একটি ছোট কারখানার মালিক জানান, “আগে যেখানে ৫–৬ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ চলত, এখন সেখানে ১২–১৫ জন লোক লাগছে। 

সময়মতো ডেলিভারি দিতে পারাই বড় চ্যালেঞ্জ।”
ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে, সাধারণ একটি রাজনৈতিক টুপির দাম পাইকারিতে ৪০ থেকে ৬০ টাকা হলেও খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। চাহিদা বাড়ায় লাভও তুলনামূলক ভালো হচ্ছে বলে জানান তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক এই ধরনের ক্ষুদ্র শিল্প ও অনানুষ্ঠানিক ব্যবসা অনেক মানুষের অস্থায়ী কর্মসংস্থান তৈরি করে। ফলে নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপের পাশাপাশি অর্থনীতির একটি ছোট অংশেও দেখা যাচ্ছে চাঙ্গাভাব।

সব মিলিয়ে, ভোটের মাঠে প্রচারণা যত জোরালো হচ্ছে, ততই জমে উঠছে টুপির বাজার—আর তাতেই খুশি এই খাতের সঙ্গে জড়িত মানুষজন।

Post a Comment

Previous Post Next Post