সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ছবি খুব ভাইরাল হচ্ছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর বিএনপি নেতা তারেক রহমান ফোনে কথা বলছেন। ছবির নিচে আবার এমন ক্যাপশন—
“শেখ হাসিনা তারেক রহমানকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।”
এই ছবি আর লেখাটা দেখে নেটিজেনদের কল্পনাশক্তি যে কোথায় পৌঁছেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আর সেই কল্পনার সুযোগ নিয়েই আমাদের বিশেষ ‘গোপন সূত্র’ (মানে—পুরোপুরি মাথার ভেতরের গল্প) এই দুই নেতার মধ্যে হওয়া একেবারে কাল্পনিক ফোনালাপের স্ক্রিপ্ট উদ্ধার করেছে।
চলুন, মজা করে দেখে নেওয়া যাক সেই ঐতিহাসিক ফোনালাপটা—
তারেক রহমান:
হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম। কে বলছেন?
শেখ হাসিনা:
আরে চিনতে পারছো না নাকি? আমি তোমার সেই চেনা ‘আপা’! ইন্ডিয়া থেকে বলছি।
তোমরার খবর কী? শুনলাম তো বেশ ধুমধাম করে দেশে ফেরার আয়োজন!
তারেক রহমান (একটু থতমত খেয়ে):
আপনি আমাকে ফোন করেছেন? এই সময়ে? হঠাৎ কী মনে করে?
শেখ হাসিনা:
আরেহ বাবা, রাজনীতি তো থাকবেই। কিন্তু তুমি যে এতদিন পর দেশে ফিরছো—এইটা তো ছোট খবর না। তাই ভাবলাম একটু শুভেচ্ছা জানাই।
আমি তো যেতে পারলাম না, তাই ভাবলাম তুমিই যাও। তবে সাবধানে থেকো, এয়ারপোর্টে কিন্তু লোকজন একটু বেশি হতে পারে!
তারেক রহমান:
ধন্যবাদ।
তবে একটা প্রশ্ন—আপনি হুট করে দেশ ছাড়লেন কেন?
আমাকে তো একটা মেসেজ দিলেও পারতেন, একসাথেই লন্ডন চলে যেতাম!
শেখ হাসিনা:
হাহাহা! তুমি লন্ডনে, আমি দিল্লিতে—দূরত্ব তো আর খুব বেশি না।
আচ্ছা শোনো, আমার বাসার ড্রয়ারে কিছু স্পেশাল ‘চা-পাতা’ রয়ে গেছে, পারলে ওটা একটু খেয়াল কইরো।
আর ওই যে আয়নাঘরটা… ওটার চাবিটা যেন ঠিক জায়গায় থাকে!
তারেক রহমান:
চাবি তো পাচ্ছি না এখনো। আচ্ছা, আপনি যে আমাকে ‘মোদি-পত্নী’ ট্যাগ দিয়ে শুভেচ্ছা পাঠাচ্ছেন—এইটা কি সিরিয়াস, নাকি নেটের কারসাজি?
শেখ হাসিনা:
আরে ওসব তো নেট দুনিয়ার কাণ্ডকারখানা! আমি তো জাস্ট শুভেচ্ছাই জানিয়েছি।
মানুষ যদি নিজের মতো রঙ লাগায়, আমি কী করব?
যাই হোক, তুমি তো আসছো—আমার জন্য এক প্যাকেট লন্ডনী চকলেট আনতে পারবা না?
তারেক রহমান:
দেখি চেষ্টা করব। আচ্ছা, আপনি কবে ফিরছেন?
শেখ হাসিনা:
আমি?
আমি তো এখন ছোটখাটো ‘রিফ্রেশমেন্টে’ আছি।
তুমি গদিটা একটু ঝেড়েমুছে রাখো—কখন যে আবার টুপ করে চলে আসি, কে জানে!
Post a Comment